মোহাম্মদ রুবেল হোসেন
শুরুতে আমি একজন ACE EX2 ড্রাইভার ছিলাম। ভাড়ার ভিত্তিতে গাড়ি চালাতাম। কমিশন ভিত্তিতে বেতন উপার্জন করতাম। সঞ্চিত অর্থ ব্যবহার করে আমি একটি টাটা পিকআপ কিনেছিলাম। এটি ছিল আমার শুরু, এবং পরবর্তীতে আরও দুটি গাড়ি কিনেছি, যেগুলো বর্তমানে আমি চালাচ্ছি। যখন টাটা পিকআপ কিনেছিলাম, তখন বিক্রয় কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন যে এক লিটার ডিজেলে ১৭ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যাবে। কিন্তু গাড়ি কেনার পরে দেখলাম এক লিটার ডিজেলে ১৮ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। এই গাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অত্যন্ত কম। নিজে একজন অভিজ্ঞ ড্রাইভার হওয়ায়, ছোটখাটো কাজগুলো আমি নিজেই সামলে নিতে পারি।
আমার গাড়িগুলি সবজি বাজারে কাজে লাগে এবং আমার জন্য বেশ সুবিধাদায়ক। খুচরা বিক্রেতারা এখান থেকে তাদের পণ্য নিয়ে যান, তাই লোডের পরিমাণ খুব বেশি হয় না। আমি সর্বোচ্চ এক টন ওজন বহন করতে পারি। কখনো কখনো এটি দেড় টনও হয়। আমার TATA ACE EX2 PICKUP সহজেই সেই লোড নিতে পারে। ফলে ওভারলোডিংয়ের কোনো সমস্যা হয় না।
প্রতি গাড়ি দিয়ে আমি দিনে ৩-৪টি ট্রিপ দিতে পারি। এই ৩-৪টি ট্রিপ থেকে যা আয় হয়, তাতে আমি আমার পরিবার ভালোভাবে চালাতে পারি এবং (ঋণের) কিস্তি পরিশোধ করতে পারি।
আমি উত্তরা এলাকায় থাকি এবং আশেপাশে তিনটি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। সার্ভিস সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নিয়ে আমি কখনো চিন্তিত হইনি। যন্ত্রাংশের অভাবে আমার গাড়ি কখনো বন্ধ ছিল না। এখন পর্যন্ত সার্ভিস নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা হয়নি, এবং আমি কোনো মাথাব্যথা ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারি। সব মিলিয়ে, গাড়ি চালাতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি। যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান করেন সেলস অফিসার এবং নিতাল মটর সার্ভিস যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে। যারা পরিবহন ব্যবসার জন্য গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের আমি নিশ্চিতভাবে TATA ACE EX2 PICKUP কেনার পরামর্শ দেব। এটি একটি অত্যন্ত ব্যবসাবান্ধব গাড়ি।